1. [email protected] : Admin : sk Sirajul Islam siraj siraj
  2. [email protected] : admi2017 :
  3. [email protected] : Sk Sirajul Islam Siraj : Sk Sirajul Islam Siraj
ব্রেকিং নিউজ :
বিনোদন :: গান গাইতে গাইতে মঞ্চেই গায়কের মর্মান্তিক মৃত্যু!,  খেলার খবর : অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ, বিমানবন্দরে যুবাদের জানানো হবে উষ্ণ অভ্যর্থনা,

শ্রীমঙ্গলে অর্ধেক চেয়ারম্যান প্রার্থীই জামানত হারিয়েছেন

  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ৬ জানুয়ারী, ২০২২
  • ২৩৯ বার পঠিত

শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি : মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে পঞ্চম ধাপে গতকাল অনুষ্ঠিত নয়টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী ৪৪ জন চেয়ারম্যান প্রার্থীর মধ্যে অর্ধেক প্রার্থী (২২জন) হারিয়েছেন জামানত।

নির্বাচন কমিশন থেকে প্রাপ্ত ফলাফলে দেখা গেছে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়া নয়টি ইউনিয়নের প্রতিটিতেই এক বা একাধিক প্রার্থী তাদের জামানত হারিয়েছেন। নিয়ম অনুযায়ী মোট প্রদত্ত ভোটের আটভাগের একভাগ না পেলে জামানত হারান প্রার্থীরা। শ্রীমঙ্গলে জামানত হারানোর তালিকায় ডামি প্রার্থী থেকে বর্তমান চেয়ারম্যান ও হেভিওয়েট প্রার্থীরা সবাই রয়েছেন।

নির্বাচন কমিশন থেকে গতকাল রাতে প্রাপ্ত ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা গেছে প্রতিটি ইউপিতেই অন্তত একজন জামানত হারানো প্রার্থী আছেন।

১নং মির্জাপুর ইউনিয়ন:
১নং মির্জাপুর ইউনিয়নে মোট ভোটার ছিলেন ২০ হাজার ৯২৮ জন, তাদের মধ্যে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন ১৫ হাজার ৫১১ জন। জামানত রক্ষা করার জন্য প্রয়োজন ছিল ১ হাজার ৯৩৮ ভোটের কিন্তু তার থেকেও কম ভোট পেয়েছেন এই ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান সুফি মিয়া, তিনি মটর সাইকেল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন মাত্র ১ হাজার ২৯২ ভোট।

মির্জাপুর ইউপিতে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন মিছলু আহমেদ চৌধুরী (ঘোড়া) তিনি পেয়েছেন ৫ হাজার ৭৯০ ভোট, তার নিকটতম ছিলেন অপূর্ব চন্দ্র দেব (নৌকা) তিনি পেয়েছেন ৫ হাজার ৬১৬ ভোট, আরেক প্রার্থী মনু মিয়া (আনারস) পেয়েছেন ২ হাজার ৮১৩ ভোট।

২নং ভূনবীর ইউনিয়ন:
ভূনবীর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান প্রার্থী ছিলেন ছয়জন তাদের মধ্যে তিনজন হারিয়েছেন জামানত। এই ইউপিতে মোট ভোটার ছিলেন ২৬০৮৯ জন যার মধ্যে ভোট দিয়েছেন ১৭৮১৯ জন। জামানত রক্ষায়

এখানে পেতে হতো ২ হাজার ২২৭ ভোট কিন্তু সেই লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারেননি তিন চেয়ারম্যান প্রার্থী। অটোরিকশা প্রতীকে দুলাল মিয়া পেয়েছেন মাত্র ৩৭ ভোট, জহিরুল ইসলাম রনি, মোটরসাইকেল প্রতীকে পেয়েছেন ১৭ ভোট আর মো রইছ আলী, চশমা প্রতীকে পেয়েছেন ১১ ভোট।

এই ইউনিয়নে চেয়ারম্যান হয়েছেন আব্দুর রশিদ (নৌকা) তিনি পেয়েছেন ৮ হাজার ৭৫ ভোট তার নিকটতম ছিলেন ইদ্রিস আলী (ঘোড়া) ৬ হাজার ১১৪ ভোট,আরেক প্রার্থী জলিল মাহমুদ (আনারস) পেয়েছেন ৩ হাজার ৫৬৫ ভোট।

৩নং শ্রীমঙ্গল ইউনিয়ন:
শ্রীমঙ্গল ইউনিয়ন এই উপজেলার সবচেয়ে বড় ইউনিয়ন, এখানে মোট ভোটার ৪০ হাজার ৪৪২ জন যার মধ্যে ভোট দিয়েছেন ২৫ হাজার ৯০০ জন।

এখানে জামানত রক্ষায় লাগতো ৩হাজার ২৩৭ ভোট, কিন্তু সেই লক্ষ্য ছুঁতে পারেননি আব্দুর রহমান খাঁন (মোটরসাইকেল) ও শাহ মো লিয়াকত আলী (আনারস) তারা পেয়েছেন যথাক্রমে ১ হাজার ১৩১ ও ২৫৯ ভোট।

এই ইউপিতে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন দুদু মিয়া (ঘোড়া) ১০ হাজার ৯৩২ ভোট, নিকটতম আবু তালেব বাদশা (নৌকা) ৮ হাজার ১৩১ ভোট ও অমরেন্দ্র দেবনাথ (অটোরিকশা) ৫ হাজার ৪৪৭ ভোট।

৪নং সিন্দুরখাঁন ইউনিয়ন:
সিন্দুরখাঁন ইউনিয়নে পাঁচজন চেয়ারম্যান প্রার্থী তাদের জামানত হারিয়েছেন। এই ইউপি তে মোট ভোটার ছিল ২৫ হাজার ০২৬ জন যার মধ্যে ভোট দিয়েছেন ১৭ হাজার ৫৮২ জন। জামানত রক্ষা করতে এখানে ভোট পেতে হতো ২ হাজার ১৯৭টি।

এখানে জামানত হারিয়েছেন মো মানিক মিয়া (চশমা) ১৯১ ভোট, মো. জসিম উদ্দিন (আনারস) ১ হাজার ৫৫৬ ভোট, মো. ওয়াছি উদ্দিন তালুকদার (মোটরসাইকেল) ৮৩৩ ভোট, নার্গিস আকতার (দুটি পাতা) ৩৬ ভোট, ছালা উদ্দিন (অটোরিকশা) ৭৮ ভোট।

এখানে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন ইয়াসিন আরাফাত রবিন (ঘোড়া) ৭ হাজার ৭৩৯ ভোট,নিকটতম ছিলেন আব্দুল্লাহ আল হেলাল (নৌকা) ৭ হাজার ১৪৯ ভোট।

৫নং কালাপুর ইউনিয়ন:
কালাপুর ইউনিয়নে মোট ভোটার ২৬ হাজার ৯৮৪ জন যাদের মধ্যে ১৯ হাজার ২৫৬ জন ভোট দিয়েছেন। জামানত রক্ষা করতে এখানে প্রয়োজন ছিল ২ হাজার ৪০৭টি ভোটের।

এখানে জামানত হারিয়েছেন নুরুল ইসলাম (হাতপাখা) ১৯৪ ভোট, মামরুল আলম বদরুল (মোটরসাইকেল) ৭৬৪ ভোট, মো. দেলোয়ার হোসেন (অটোরিকশা) ৯৫৬ ভোট, হাফিজুর রহমান চৌধুরী (চশমা) ১ হাজার ৬৯২ ভোট।

কালাপুরে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন আব্দুল মতলিব (নৌকা) ৬১৫০,নিকটতম ছিলেন ফজলুর রহমান ফজলু (ঘোড়া) ৫০৫১ ভোট,ও মুজিবুর রহমান (আনারস) ৪৪৪৯ ভোট।

৬নং আশিদ্রোন ইউনিয়ন:
আশিদ্রোন ইউপিতে মোট ভোটার ৩০৫৬২ জন,এখানে ভোট পরেছে ২১ হাজার ৩৮৪টি। এখানে জামানত রক্ষায় লাগতো ২ হাজার ৬৭৩ ভোট কিন্তু সেই সংখ্যক ভোট পাননি মো শামছুল আলম সরাফত (মোটরসাইকেল)। তিনি পেয়েছেন মাত্র ১২২ টি ভোট।

এখানে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন রনেন্দ্র প্রসাদ বর্ধন (নৌকা) ১০ হাজার ৪৩৪ ভোট, নিকটতম তাজ উদ্দিন (আনারস) ৭ হাজার ২২৬ ভোট ও আরজু মিয়া (ঘোড়া) ৩ হাজার ৬০২ ভোট।

৭নং রাজঘাট ইউনিয়ন:
রাজঘাটে মোট ভোটার ১৮ হাজার ৯৪৩ জন যাদের মধ্যে ভোট দিয়েছেন ১৪ হাজার ৩৮ জন। সেই হিসাবে এখানে জামানত রক্ষায় লাগতো ১ হাজার ৭৫৪ ভোট।

রাজঘাটে নির্বাচিত প্রার্থী বাদে সবাই জামানত হারিয়েছেন। জামানত হারানোরা হলেন ধীমান চন্দ্র বসাক (আনারস) ১ হাজার ৬৮৩ ভোট,মনোরঞ্জন গোয়ালা (মোটরসাইকেল) ৮১৮ ভোট, মাখন লাল কর্মকার (চশমা) ২৭১ ভোট।

এখানে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন বিজয় বুনার্জী (নৌকা) ১১ হাজার ২৬৬ ভোট।

৮নং কালীঘাট ইউনিয়ন:
কালীঘাট ইউপিতে মোট ভোটার ১৬২০২ জন যাদের মধ্যে ভোট দিয়েছেন ১২৪৪৫ জন। জামানত রক্ষায় এখানে প্রয়োজন ছিল ১৫৫৫ ভোটের।

এখানে জামানত হারিয়েছেন রাজকুমার গোয়ালা (ঘোড়া) ১৩৫ ভোট ও শান্ত তাঁতি (মোটরসাইকেল) ১ হাজার ৪৬৫ ভোট।

কালীঘাটে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন প্রাণেশ গোয়ালা (নৌকা) ৬ হাজার ৯৭৪ ভোট, তার নিকটতম ছিলেন বিজয় হাজরা (আনারস) ৩ হাজার ৮৭১ ভোট।

৯নং সাতগাঁও ইউনিয়ন:
সাতগাঁও ইউপিতে মোট ভোটার সংখ্যা ৮ হাজার ৮৬৭ জন যার মধ্যে ৭ হাজার ৭৯ জন তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। এখানে জামানত রক্ষায় ৮৮৪টি ভোটের প্রয়োজন ছিলো।

এখানে জামানত হারিয়েছেন দীপক বাউরি (ঘোড়া) ১২০ ভোট।

সাতগাঁও ইউপিতে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন দেবাশিষ দেব (নৌকা) ৪ হাজার ১৭৭ ভোট, তার নিকটতম ছিলেন মিলন শীল (আনারস) ২ হাজার ৭৮২ ভোট।

প্লিজ আপনি ও অপরকে নিউজটি শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি

এ জাতীয় আরো খবর..